মধু খাওয়ার নিয়ম ও সময়

মধুর উপকারিতা নিয়ে আপনারা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন।কিন্তু খুঁজে পাচ্ছেন না চিন্তার কোন কারন নেই আজকে আপনাদেরকে মধু সম্পর্কে আলোচনা করব এবং মধুর যে পুষ্টিগুণ রয়েছে এবং মধু আমাদের ব্যবহার করা উচিত কিনা। মধু ব্যবহার করে মানবদেহের দেহের যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।মধু খাওয়ার নিয়ম ও সময় সে সম্পর্কে আজকে আলোচনা করা হবে।
মধু খাওয়ার নিয়ম ও সময়
প্রিয় পাঠ আজকে আপনাদেরকে বলবো মধুর সম্পর্কে।মধু হলো এমন একটি তরল পদার্থ যা খেলে মানবদেহের অনেক উপকার হয়ে।থাকে প্রাচীন যুগ থেকেই মধুর ব্যবহার হয়ে আসছে মধুর অনেক গুণাগুণ সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

ভূমিকা

আল্লাহর পক্ষ থেকে এক অপূর্ব নিয়ামত হলো মধু যা আল্লাহ মানবদের জন্য পাঠিয়েছেন মধুর বিভিন্ন গুনাগুন রয়েছে আয়ুর্বেদিক বা ইউনানী চিকিৎসা শাস্ত্রে বলা হয় মধু মহা ঔষধ বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগের কাজে ব্যবহার করা হয়। মধু খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় মধু খেলে সুস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সকল প্রকার রোগ নির্ময়ে মধুর গুরুত্ব অপরিসীম।

মধু খাওয়ার নিয়ম ও সময়

মধু খাওয়ার নিয়ম হলো মধু দিনের যে কোন সময় খাওয়া যেতে পারে। সেটা আপনার উপর নির্ভর করে আপনি কোন সময় খাবেন। তবে কিছু নিয়ম মেনে চলা অনেক ভালো যেহেতু মধুতে অনেক প্রোটিন রয়েছে ।তাই মধু সকালে এবং রাতে খেলে অনেক ভালো হয়। মধু খাওয়ার নিয়ম ও সময় মেনে চলায় বুদ্ধিমানের কাজ নয়তো মধু বেশি খেলে হাই প্রেসার উঠার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনাকে নিয়ম মেনে নিতে হবে মধুতে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন ক্যালসিয়াম ভিটামিন এ টু জেড রয়েছে মধুর উপকারিতা অনেক বেশি।

মধুর উপকারিতা ও ব্যবহার

মধু খাওয়ার নিয়ম ও সময় যদি আপনি মেনে চলতে পারেন তাহলে অনেক উপকার পেয়ে থাকবেন।মধু হচ্ছে এমন একটি নেয়ামত যা খেলে দেহের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।মধুর অনেক উপকারিতা রয়েছে সকালে ভোর বেলা এক চা চামচ খেলে কুষ্টি কাঠিন্য দূর হয় এবং নিয়মিত করে মধু খেলে রক্তচাপ কম থাকলে বাড়ায়। রক্তের হিমোগ্লোবিন কম থাকলে তা বাড়িয়ে দেয় ।মধু রয়েছে লৌহ কপার হিমোগ্লোবিন ম্যাঙ্গানিজ তাই রক্তকে সচল পরিষ্কার করে ফেলে।

আমরা মধু নিয়মিত এক চা চামচ করে খাব তাহলে অনেক ভালো ফল পাওয়া যাবে। ফুসফুসের বিভিন্ন রোগ থেকে থাকে তার মধ্যে ফুসফুসের যে রোগগুলো রয়েছে মধু খেলে তা ভালো হয়ে যায় শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর হয়। শ্বাসকষ্টের জন্য মধু এক বিশাল উপকারী তাই মধুর ব্যবহার অনেক বেশি প্রাচীন যুগ থেকেই এর ব্যবহার এভাবেই হয়ে এসেছে মধু খেলে শরীরে অনেক বল পাওয়া যায় এবং শরীরের যেই চামড়া-গোছ পরে তা দূর হয়ে যায় এবং বয়স্কের ভাবটাও দূর হয়ে যায় ।তাই বলা যায় যে মধুর উপকারিতা ও ব্যবহার অনেক বেশি।

শীতকালে মধুর উপকারিতা

শীতকালে মধুর উপকারিতা অনেক বেশি কারণ প্রায় মানুষের অসুখ বা অসুস্থ হয়। মধু খাওয়ার নিয়ম ও সময় নিয়ম মেনে চলি তাহলে কোন সমস্যা নেই। বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট প্রায় মানুষের হয়ে থাকে আর এই শ্বাসকষ্ট ভালো করতে হলে নিয়মিত আপনাদেরকে মধু খেতে হবে তাহলে শ্বাসকষ্ট দূর হয়ে যাবে। শীতকালে অনেক সমস্যা হয়ে থাকে মুখের রুচি থাকে না আপনি যদি বুঝতে পারেন যে আপনার মুখের রুচি নাই তাহলে আপনি দু চামচ পরিমাণ মধু খেয়ে নিতে পারেন।

শীতকালে অনেক ভাবে মধু খাওয়া যায় আপনি একটু কুসুম পানিতে মধু মিশে নিতে পারেন এবং চার চা চামচ মধু সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। শীতকালে মধুর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না মধু এমন একটি উপাদান যা শীতকালে দেহের রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং বিভিন্ন ভাবে কাজ করে থাকে তাই মধুর গুরুত্ব অপরিসীম মধু খাওয়ার নিয়ম ও সময় মেনে চলবো।শীতকালে আশ্চর্যজনক ভাবে মধুর সাতটি গুনাগুন কাজ করে থাকে তা নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক
১।হালকা সর্দি কাশি,সর্দি কাশি হলে আমরা অনেক সময় ডাক্তারের কাছে যাই কিন্তু হালকা সর্দি কাশি হলে যাওয়ার দরকার নাই যদি আপনার বাড়িতে মধু থেকে থাকে তাহলে আপনি অল্প পরিমাণ মধু খেয়ে নিতে পারেন। দিনে দুইবারমধু খাবেন তাহলে হালকা সর্দি কাশি ভালো হয়ে যাবে।
২।গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আপনার যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আর কোন চিন্তা নেই।এটি খুব সহজেই আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ভালো করতে পারবেন একটু কুসুম পানি নিয়ে তার মধ্যে মধু দিয়ে মিশিয়ে দিনে দুই একবার খেয়ে নিবেন তাহলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

৩।শীতের মধ্যে আপনার চুল যদিসুস্থ থাকে তাহলে আপনি মধু পানি মিশিয়ে আপনার মাথায় এবং চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে রাখুন যখন শুকিয়ে আসবে গোসল করার সময় ভালোভাবে শ্যাম্পু করে নিন ।তাহলে দেখতে পাবেন আপনার চুল অনেক সতেজ হয়ে গেছে মধুতে অনেক পরিমাণ এনজাইম থাকে তাই নিয়মিত ব্যবহারের ফলে আপনার চুল অনেক সতেজ থাকবে।

৪।সাধারণত ভাবে শীতকালে মানুষের যদি কোথাও কেটে যায় বা পুড়ে যায় বা কারো সাথে লেগে ছেরে যায় তাহলে তো শীতকালে তার সে ঘা শুকাতে চায় না। তাই আপনাকে নিয়মিত ভাবে মধু খেতে হবে আপনার ঘা যে কয়দিন থাকবে সেই কয়দিনি আপনাকে নিয়মিত এই মধু খেতে হবে তাহলে আপনার ঘা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে।

৫।শীতকালে তো বলা যায় না যে শীত কেমন পড়বে একটু কম বা বেশি সেক্ষেত্রে যদি শীত একটু বেশি পড়ে তাহলে প্রায়ই মানুষেরই শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়।। চিন্তার কোন কারণ নেই যদি শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আপনি কিছুদিন নিয়মিত।করে মধু খেয়ে নিবেন তাহলে শ্বাসকষ্ট দূর হয়ে যাবে।

৬।শীতকালে ঠোঁট ফাটা এটা তেমন কোন বিষয় নয় শীতকালে প্রায় মানুষেরই ঠোঁট ফেটে যায় যদি আপনি মধুখান এবং তাহলে আপনার এই সমস্যাটি আর হবে না।মধু ব্যবহার করেও যেমন অনেক উপকার পাবেন খেলে তো উপকার পাবেন তার গুরুত্ব অপরিসীম।

৭। শীতকালে একটি বিষয়ে খেয়াল রাখবেন দিনের বেলা একটু রোদ বের হলে শরীর সুস্থ হয়ে যায় ।যদি আপনি এলোভেরা জেল এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে শরীরে ব্যবহার করে থাকেন তাহলে শুষ্ক শরীর ঠিক হয়ে যাবে আপনি নিয়মিত খেতে পারেন তাতে কোন সমস্যা নেই উপকার অনেক বেশি পাবেন এবং এলোভেরা জেল এর সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে তা নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনি অনেক ভাল ফল পাবেন।

সকালে মধু খাওয়ার উপকারিতা

সকালে মধু খাওয়া অনেক ভালো তবে মধু খাওয়ার নিয়ম ও সময় আপনি যদি মেনে চলেন তাহলে খুব ভালো হয়।ঘুম থেকে উঠার পরে এক গ্লাস গরম পানি নিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো মধু নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে তা প্লান করতে পারেন তাহলে আপনার পুরো দিনটা অনেক ভালো কাটবে। শরীরের সুস্বাস্থ্য হবে শরিলে রোগ সংক্রমণ এবং সাইনাসের মতো রোগের ভালো চিকিৎসা হয়ে থাকে মধু।সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে আপনি যদি বুঝতে পারেন আপনার শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে তাহলে দুই চামচ পরিমাণ মধু খেয়ে নিবেন তাহলে আপনার শ্বাসকষ্ট দূর হয়ে যাবে।

আপনার শরীরের কোথাও যদি সমস্যা বা ক্ষত হয়ে থাকে তাহলে নিয়মিত করে মধু খান তাহলে তাড়াতাড়ি ক্ষত শুকিয়ে যাবে ।ঘাইয়ের জন্য সবচাইতে উপকারী হল মধু আপনি নিয়মিত যদি মধু খেতে পারেন তাহলে আপনার কোনদিন মুখের ঘা হবে না এবং আপনার যদি কুষ্টি কাঠিন্য হয়ে থাকে তাহলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দু চামচ করে মধু খেয়ে নিতে পারেন অনেক ভালো ফল পাবেন। সকালে মধু খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি।।

রাতে মধু খাওয়ার নিয়ম

রাতে মধু খাওয়ার নিয়ম ও সময় মানুষ তো পরিশ্রম করে থাকে দিনের পুরো অংশে মানুষ এখন বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকে। বিভিন্ন কাজ করার পরে যখন সন্ধ্যা হয়ে আসে তখন মানুষ নিজে হয়ে পড়ে তার শরীরের কোন বল থাকে না কাজ করতে মন চায় না বসতে ভালো লাগে না মস্তিষ্কের আঘাত আনে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তাই আপনি যদি কুসুম গরম পানিতে মধু মিশে এক গ্লাস পরিমাণ খেয়ে নিতে পারেন তাহলে আপনার সারাদিনের সেই অক্লান্ত পরিশ্রম তা দূর হয়ে যাবে।

আপনার শরীর সতেজ হয়ে উঠবে এবং আপনি যে কাজ করে শরীরের ঘাটতি পড়েছে তা দূর করবে। রাতে খাবার পরে আপনি দুই চামচ পরিমাণ মধু খেয়ে নেবেন তাহলে সারা রাতে আপনার শক্তি বা বল বৃদ্ধি পাবে ।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে তাহলে আপনার কোন কাজই করতে আর অমনোযোগী হবে না তাই রাতে মধু খাওয়ার অনেক লাভবান রয়েছে।মধু খাওয়ার নিয়ম ও সময় মেনে চলতে হবে।

মধু ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

মধু ও কালিজিরা খাওয়ার যে উপকারিতা রয়েছে তা আমরা না খেলে বুঝতে পারব না মধু তো সারা বছরই মানুষের দেহের জন্য উপকার বা কাজ করে থাকে।যদি আপনি মধু কালিজিরা একসাথে খান তাহলে উপকারটা অনেক বেশি পাবেন।সকালে এবং রাতের যদি আপনি কালিজিরও মধু একসঙ্গে যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে আপনার যৌন শক্তি অনেক বৃদ্ধি পাবে।মধু আমাদের দেহের এক অপরিসীম ভূমিকা পালন করে থাকে।

কালিজিরা রোদে শুকিয়ে তা বেটে মধুর সঙ্গে একসাথে মিশিয়ে যদি আপনি খান তাহলে সর্দি কাশি জ্বর খুব সহজেই ভালো হয়ে যায় শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ বা শ্বাসকষ্ট হলে বা হাপানি হলে আপনি মধু কালিজিরা একসঙ্গে খেতে পারেন।কালিজিরা ও মধু মানব দেহের প্রায় সকল রোগের সমাধান দিয়ে থাকে তাই মধু ও কালিজিরা খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি।

লেখক এর মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আপনি যে মধু সম্পর্কে যে জানতে চেয়েছিলেন তা কি জানতে পেরেছেন যদি জানতে পেয়ে থাকেন এবং আর্টিকেলটির যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অন্যদেরকে দেখার সুযোগ করে দেবেন।পরবর্তীতে এ ধরনের আর্টিকেল পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আ্রিয়াাি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url